Niaz Mohammad High School Playground

This Playground is owned one & only by Niaz Mohammad High School, Brahmanbaria

There is a high school next to Brahmanbaria Government College. A well-established historical high school in the town of Brahmanbaria. The school is being run by highly skilled teachers, office staff. Every year this school brings good results. Some talented students get the opportunity of higher education in good educational institutions all over the country. The school has a beautiful field. The school is well ahead in sports

A good school in this area. Many students comes from varies areas. It is a good institute.

Extraordinary. Love This Place.

🥰

A good High School in this area. Teachers are very good and cooperative.

Old school and it has big ground

Niaz Playground

Nice and big playground

Its also Brahmanbaria College

This is a good school.

awesome

My Primary School.

best in brahmanbaria

My School.

Excellent

Good school

good school

নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় অতীত ইতিহাস খুজতে গিয়ে খুবই অবাক হলাম।এটিই একমাত্র ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার উচ্চ বিদ্যালয় যার প্রতিষ্ঠা কাল একশত বৎসরের উপরে।

I was very surprised to find the past history of Niaz Muhammad High School. This is the only high school in Brahmanbaria which is more than one hundred years old.

#প্রতিষ্ঠানের_ইতিহাস

নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়
স্থাপিত: ১৯১০ সাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

এক নজরে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাস :

ভারতবর্ষে বৃটিশ সরকার ফার্সি ভাষার পরিবর্তে ইংরেজি রাষ্ট্রভাষা করার পর ভারতীয় মুসলমানরা ইংরেজি বর্জন করে। ফলে ভারতীয় মুসলমানরা অচিরেই শিক্ষাহীন অবস্থায় ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। স্যার সৈয়দ আহম্মদ খান ভারতীয় মুসলমানগণকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য অগ্রসর হন। তিনি বহু সংগ্রামের পর মুসলমানগণকে ইংরেজি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করেন এবং আলিগড়ে ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে ইতিহাস সবারই জানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসলমানরাও শিক্ষাহীন অবস্থায় ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। স্যার সৈয়দ আহম্মদ খানের পথ অনুসরণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কয়েকজন মুসলিম কৃতি পুরুষ ও সমাজ সেবক শহরে একটি ইংরেজি স্কুল প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন। তাঁরা হলেন - মরহুম মুন্সী আব্দুল কাদির, মরহুম আব্বাস খাঁ, মরহুম সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, মরহুম খান বাহাদুর আবদুর রউফ এবং মরহুম খান সাহেব আনসর আলী মোক্তার।

১৯১০ সনের ৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পূর্ব পার্শে একটি খালি জায়গায় জর্জ মাইনর স্কুল (জর্জ এম. ই. স্কুল) প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে উল্লেখ্য, ইংরেজ রাজত্বকালে সরাসরি হাই স্কুল করা যেত না। প্রথমে মাইনর স্কুল পরে এটি উন্নীত হয়ে হতো হাই স্কুল। অল্প দিনের মধ্যে যথেষ্ট ছাত্র বৃদ্ধি হওয়ায় স্কুলটিকে সরিয়ে মোড়াইল অঞ্চলে (বর্তমান অবস্থানে) নিয়ে আসা হয়। এটি ১৯১৪ সালে জর্জ হাই ইংলিশ স্কুলে উন্নীত হয় এবং ১৯১৯ সনে কলকাতা ইউনিভার্সিটির স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে। অচিরেই হিন্দু - মুসলিম ছাত্রে স্কুলটি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

১৯৪৮ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জর্জ হাই ইংলিশ স্কুলের জায়গা দান করা হয় এবং এরপর এই স্কুলের নামকরণ করা হয় কলেজিয়েট স্কুল। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ঢেউ টিনের ঘর ছিল। ১৯৫৯ সনে পাকিস্তানের রাজধানী করাচির চিফ কমিশনার ছিলেন নিয়াজ মুহম্মদ খান আইসিএস সাহেব। তিনি এন এম খান নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন এবং তাঁর জন্মস্থান পাঞ্জাবে। তিনি ১৯৩৪ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার এসডিও হিসাবে আসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়নের জন্য তিনি ইতিহাস হয়ে আছেন। মরহুম মুন্সি আব্দুল কাদির সাহেবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। মুন্সি সাহেব এন এম খানকে একটি চিঠি লিখেছিলেন স্কুল ঘরটির উন্নয়নের জন্য এন এম খান চিঠি পাওয়ার পর ১৯৫৯ সনের ২৪ এপ্রিল একটি চিঠিতে মুন্সি সাহেবকে জানান, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর জাকির হোসেনের মাধ্যমে স্কুল ঘরটির উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দের কথা। এই অনুদানের টাকায় ঢেউটিনের পরিবর্তে পূর্ব পশ্চিমে লম্বা পাকা স্কুল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। মুন্সি সাহেব এজন্যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ১৯৬০ সনে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এর মাধ্যমে এন এম খানের নামে নিয়াজ মুহম্মদ হাই স্কুল নামকরণ করেন এবং তাঁকে করাচি থেকে এনে নতুন ভবনের উদ্বোধন করিয়েছিলেন।

স্কুলটি হাই স্কুল হবার পর তৎকালীন সময়ে বহু দেশখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে স্কুলটিকে ধন্য করে গেছেন। তাঁদের মধ্যে শুধু কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হলো। ১৯১৮ সনে প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু তারকা নাথ দে। তাঁর ‘ইংরেজি গ্রামার এন্ড ট্র্যান্সলেশন’ বইটি তৎকালীন অবিভক্ত বাংলায় দশম শ্রেণিতে পাঠ্য ছিল। এটা সাধারণ কথা নয়। ১৯৩৪ সনে প্রধান শিক্ষক ছিলেন জনাব জালাল উদ্দিন আহম্মেদ এম. এ. স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। এখান থেকে তিনি ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল হয়ে যান এবং কৃতি শিক্ষাবিদ হিসাবে দেশব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৩৯ সনে প্রধান শিক্ষক ছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির এম. এ. ডিগ্রী প্রাপ্ত জনাব আনিছ আহমেদ। এটি কম গৌরবের কথা নয়। ১৯৫০ সনে প্রধান শিক্ষক ছিলেন কলকাতা ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র বাবু বীরেন্দ্র চন্দ্র গুপ্ত (বি. সি. গুপ্ত)।

এই স্কুল থেকে বহু কৃতী ছাত্র বের হয়ে স্কুলটিকে ধন্য করে গেছেন। এখানে কয়েকজন কৃতী ছাত্রের নাম উল্লেখ করা হলো - এই স্কুলের কৃতী ছাত্র ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ডিপিজি এবং পরে রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর হন। উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মডেলে তৈরি এই ইউনিভার্সিটি তাঁরই হাতে গড়া। এই স্কুলেরই কৃতী ছাত্র ড. খান সারোয়ার মোর্শেদও রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। এই স্কুলের কৃতী ছাত্র তৎকালীন যুক্তফ্রন্টের পাট ও সমবায়মন্ত্রী আবদুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান এম. এন. এ. আজিজুর রহমান মোল্লাও এই স্কুলের কৃতী ছাত্র এবং তিনি স্কুলের শিক্ষকও হয়েছিলেন।

তথ্য ও লিখা : স্কুল ওয়েবসাইট।