Yelbong river camp

Good place with a very great hospitality. For sight seeing you have to trek 3 kms to a natural waterfall and a canyon from the sides of a rungti river. Clear sky from the mountain top to have a full view of millions of stars. Host are a treat and it won't pinch your pocket a lot. All speak to the host to get a cheaper transport and guide.

Went to Yelbong on 11th November 2023. Stayed in Yelbong Saran Homestay owned by Kamala aunty and had the time of our lives. Enjoyed alot with old friends, made new friends and took alot of warm and cozy memories back with us to Kolkata. The trek guide was highly experienced and provided the best hospitality to us. We were in awe, witnessing the magical rainbow waterfall and river canyon.

Special mention: I had severe leg pain and fell sick while coming back from the trek. The trek guide (who was of my father's age) piggy-backed me to the homestay. I'll never forget his warm hospitality. Will definitely visit again.

Amazing experience..first time trekked..dangerously beautiful 😍

Bone chilling adventure.
A must go place for nature and adventure lovers.

Excellent

Nice place

Awesome Experience

Hidden wonder

Nature of beauty

রুমতি নদীর পাশে ছোটো পাহাড়ি গ্রাম ইয়েলবং থেকে প্রায় ৬ কি.মি. ট্রেক রুট হল ক্যানিয়ন।পাহাড়ী পথে সম্পূর্ণ ৩কিমি শুধুই উতরাইতে নামতে হয়।এই পুরোপথটাই কুচোপাথরে পরিপূর্ণ, তাই সতর্কতা রক্ষায় ভালো গ্রিপের জুতো অবশ্যই জরুরি। পাহাড় শেষে অতিমিষ্টি জলের ঝর্ণা ধরে বোল্ডার পেরিয়ে এসে পৌছানো গেল রুমতির তীরে। এখন শীতকাল তাই জল বেশ কম, তবে বর্ষায় যে নদী ভয়ংকর রূপ নেয় তা দেখেই বোঝা যায়।বলে রাখি, ক্যানিয়ন কিন্তু রুমতির নয়। রুমতির সাথে এসে মেশা চিকলডুং ঝোরা ( ঝোরা বলা হয় ছোটো পাহাড়ি ঝর্ণাকে) র পথে ক্যানিয়ন তৈরী হয়েছে। তাই রুমতিকে ছেড়ে আমরা চললাম চিকলডুং এর পাথর ও পাশে থাকা বনের মধ্য দিয়ে প্রায় আরও ২ কিমি পথ। এই পথের বোল্ডার জোন বয়স্ক ও বাচ্চাদের জন্য বেশ কষ্টকর হতে পারে। এই অঞ্চল বাটারফ্লাই জোন।অসংখ্য প্রজাপতি আমাদের পাশে ঘুরে বেড়াছিল,যদিও ছবি তুলতে পারিনি😭। যাইহোক, বোল্ডার জোন পেরিয়ে সামনে দেখা গেল ক্যানিয়ন।দুই পাহাড়ের মাঝে কোমর পর্যন্ত প্রচন্ড ঠান্ডা স্বচ্ছ জলে ঢুকে পরলাম আমরা। প্রায় ১ কিমির থেকেও কম এই পথ।ভেতরে কোথাও পাথর, কোথাও গাছের ডালে ভর করে পৌছানো গেলো শেষপ্রান্ত পর্যন্ত। আমরা ছাড়া সেখানে কেউ ছিল না, তাই অদ্ভুত উত্তেজনা কাজ করছিল।জল পরার শব্দ, হাওয়ার তীব্র আওয়াজ ও জলের ঠান্ডা সব মিলিয়ে একটা দারুণ ব্যাপার। অবশেষে, গাইড ভাই শুভম এর সঙ্গে আমরা ফিরলাম আবার রুমতির কাছে। এবার এই নদীর পথ ধরেই যাব রেনবো ওয়াটার ফলস্।এই ঝর্ণার জল এতই স্বচ্ছ যে প্রতিদিন সূর্যের আলো পরলেই রেনবো হয়। চিকলডুং যেখানে রুমতিতে মিশেছে সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে নদী পথ ধরে প্রায় দেড়কিমি হাঁটার পর নদীর পশ্চিম পাড়ের বোল্ডার পথ ধরে লাফাতে লাফাতে ওপরে উঠে প্রায় হাফ কিমি ওপরে দেখা গেলো ঝর্ণা। অপূর্ব অপূর্ব সুন্দর। তবে পৌছাতে আমাদের প্রায় পৌনে একটা হয়ে যাওয়ায় রেনবো খুব অল্প দেখতে পেয়েছি, সূর্য অনেকটাই সরে গিয়েছিল। আমার মতে, আগে রেনবো ওয়াটার ফলস্ দেখে ক্যানিয়নে যাওয়াই ভালো, তাহলে বড়ো রেনবো দেখা যাবেই।
যাক, ফিরে এলাম একরাশ অভিজ্ঞতা ও প্রতিকূলতা জয় করার আনন্দ নিয়ে। নদী আর চিকলডুং এর মিলনস্থলে বসে হোমস্টের দিদির বানিয়ে দেওয়া খিচুড়ি, পাপড় আর ডিম সেদ্ধ দিয়ে বনভোজন হয়ে গেল।আবার সম্পূর্ণ চড়াই পথে উঠে এলাম গ্রামে।
তবে সব আনন্দের মাঝে ২ টো বিষয় বেশ ভাবালো, ইয়েলবং পাহাড়ের পাশের পাহাড়ে কয়লা আছে, পাশের কোনো গ্রামের লোকেরা সেই কয়লা বার করে ওপরের বাজারে গিয়ে বিক্রি করছে,তারা আমরা ছবি তুলছি কিনা সেদিকেও কড়া নজর রাখছিল, এমন চলতে থাকলে এখন সেখানে গর্ত হয়েই গেছে, এরপর ধস নামবে।আর একটা বিষয় হল রুমতির পশ্চিম পাড়ের বন থেকে পুরো মেশিন চালিয়ে গাছ কাটার আওয়াজ আসছিল, বনদপ্তর সেখানে নাকি কানে তুলো দিয়েই থাকে, গ্রাম থেকে সে খবর পাওয়া গেলো। রক্ষক ই যদি ভক্ষকের দলে ঢুকে থাকে, তবে পরিবেশ তো বিপর্যয় দেখাবেই।এই কথাগুলো কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে লেখা নয়, সাধারণ সচেতন নাগরিক হিসেবে সত্যি কথা সবার সামনে তুলে ধরার জন্য লেখা। আর এই ফরেস্ট এলাকা টি কালিম্পং জেলার অন্তর্গত।
বি. দ্র--- ১.ইয়েলবং সবার জন্য ট্রেক রুট নয়, যারা অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তারা অবশ্যই যান। ১ দিন ঘোরার জন্য হাতে রাখলেই চলবে।
২. ভালো ট্রেকের গ্রিপ দেওয়া জুতো পরে নামুন,নদীর পাড় থেকে কিটো পরতে হবে জলের জন্য।
৩. অক্টোবর থেকে মার্চের শুরু অবধি এখানে যাওয়ার সময়, বৃষ্টি হলে যাওয়া যাবে না।

সবাই যান, ঘুরে আসুন, ভালো লাগবে,এখানে এখনো তেমন লোক যায় না, যত পর্যটক যাবেন, এদের অবস্থাও একটু উন্নত হবে।